নিজস্ব সংবাদদাতা
আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয় টাইগারদের।
গত ম্যাচেই সিরিজ জয়টা নিশ্চিত করতে পারতো বাংলাদেশ, সেই সম্ভাবনার প্রায় সিংহভাগ কাজই সেরে ফেলেছিলেন ব্যাটাররা। তবে বোলারদের সামনে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। সেদিন রেকর্ড রান করেও ফলাফল ভাগাভগি করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল টাইগারদের। সেই সঙ্গে সিরিজ জয়ের অপেক্ষাটাও খানিকটা বেড়েছিল। একটু দীর্ঘই হয়েছে বৈকি! বৃষ্টি একটা বাড়তি সুযোগ তৈরী করে দিলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি আইরিশরা। আজ সিলেটে ১০ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করার পাশাপাশি একটা রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে তামিমের দল।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২৮ দশমিক ১ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয়েছিল আয়ারল্যান্ড। যেখানে সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছিল ক্যাম্পারের ব্যাট থেকে। জবাব দিতে নেমে ২২১ বল হাতে রেখে তামিম-লিটনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩ দশমিক ১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
আগের দুই ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড ভাঙাগড়া হলো। এবার বাংলাদেশের রানের পাহাড়ে যেন চাপা পড়তে না হয়, সেজন্য প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল আইরিশরা। তাতে হয়ে গেলো আরেক রেকর্ড।
প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ১০২ রান তাড়া করে তিন ম্যাচের সিরিজটাও ২-০ ব্যবধানে জিতেছে তামিম ইকবালের দল।
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত; সিরিজের ট্রফি তাই থাকছে স্বাগতিকদের কাছে।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নির্ভার ছিল বাংলাদেশ। যার ছাপ দেখা গেছে তাদের ব্যাটিংয়েও। সিরিজজুড়ে রান খরায় ভুগতে থাকা তামিম ইকবাল এদিন ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইতিবাচক শুরুর বার্তা দেন। অপর প্রান্তে লিটন দাসও দুর্দান্ত শুরু পান। এই ওপেনারও চার হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করেন।
দুই ওপেনারের ব্যাটে ৭ ওভারের আগেই দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে বাংলাদেশ। একই গতিতে শতকও পেরোয় টাইগাররা। এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক তামিম। ১৩ ওভার ১ বল খেলে বিনা উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ১০২ রানের অবিছিন্ন জুটিতে ৪১ রান এসেছে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। আর লিটন অপরাজিত থেকেছেন ৫০ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আয়ারল্যান্ডঃ ২৮.১ ওভারে ১০১ (ডোহেনি ৮, স্টার্লিং ৭, বালবার্নি ৬, টেক্টর ০, টাকার ২৮, ক্যাম্পার ৩৬, ডকরেল ০, ম্যাকব্রাইন ১, অ্যাডায়ার ৩, হিউম ৩, হামফ্রেজ ৮*; হাসান ৮.১-১-৩২-৫, তাসকিন ১০-১-২৬-৩, ইবাদত ৬-০-২৯-২, নাসুম ৩-০-১১-০, মিরাজ ১-০-৩-০)
বাংলাদেশঃ ১৩.১ ওভারে ১০২/০ (তামিম ৪১, লিটন ৫০; অ্যাডায়ার ৩-০-২৯-০, হিউম ৩-০-১৫-০, হামফ্রেজ ৪-০-৩৬-০, ক্যাম্পার ৩.১-১-২১-০)
ম্যাচসেরাঃ হাসান মাহমুদ
ফলঃ বাংলাদেশ ১০ উইকেটে জয়ী।
গত ম্যাচেই সিরিজ জয়টা নিশ্চিত করতে পারতো বাংলাদেশ, সেই সম্ভাবনার প্রায় সিংহভাগ কাজই সেরে ফেলেছিলেন ব্যাটাররা। তবে বোলারদের সামনে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। সেদিন রেকর্ড রান করেও ফলাফল ভাগাভগি করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল টাইগারদের। সেই সঙ্গে সিরিজ জয়ের অপেক্ষাটাও খানিকটা বেড়েছিল। একটু দীর্ঘই হয়েছে বৈকি! বৃষ্টি একটা বাড়তি সুযোগ তৈরী করে দিলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি আইরিশরা। আজ সিলেটে ১০ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করার পাশাপাশি একটা রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে তামিমের দল।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২৮ দশমিক ১ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয়েছিল আয়ারল্যান্ড। যেখানে সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছিল ক্যাম্পারের ব্যাট থেকে। জবাব দিতে নেমে ২২১ বল হাতে রেখে তামিম-লিটনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩ দশমিক ১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
আগের দুই ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড ভাঙাগড়া হলো। এবার বাংলাদেশের রানের পাহাড়ে যেন চাপা পড়তে না হয়, সেজন্য প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল আইরিশরা। তাতে হয়ে গেলো আরেক রেকর্ড।
প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ১০২ রান তাড়া করে তিন ম্যাচের সিরিজটাও ২-০ ব্যবধানে জিতেছে তামিম ইকবালের দল।
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত; সিরিজের ট্রফি তাই থাকছে স্বাগতিকদের কাছে।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নির্ভার ছিল বাংলাদেশ। যার ছাপ দেখা গেছে তাদের ব্যাটিংয়েও। সিরিজজুড়ে রান খরায় ভুগতে থাকা তামিম ইকবাল এদিন ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইতিবাচক শুরুর বার্তা দেন। অপর প্রান্তে লিটন দাসও দুর্দান্ত শুরু পান। এই ওপেনারও চার হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করেন।
দুই ওপেনারের ব্যাটে ৭ ওভারের আগেই দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে বাংলাদেশ। একই গতিতে শতকও পেরোয় টাইগাররা। এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক তামিম। ১৩ ওভার ১ বল খেলে বিনা উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ১০২ রানের অবিছিন্ন জুটিতে ৪১ রান এসেছে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। আর লিটন অপরাজিত থেকেছেন ৫০ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আয়ারল্যান্ডঃ ২৮.১ ওভারে ১০১ (ডোহেনি ৮, স্টার্লিং ৭, বালবার্নি ৬, টেক্টর ০, টাকার ২৮, ক্যাম্পার ৩৬, ডকরেল ০, ম্যাকব্রাইন ১, অ্যাডায়ার ৩, হিউম ৩, হামফ্রেজ ৮*; হাসান ৮.১-১-৩২-৫, তাসকিন ১০-১-২৬-৩, ইবাদত ৬-০-২৯-২, নাসুম ৩-০-১১-০, মিরাজ ১-০-৩-০)
বাংলাদেশঃ ১৩.১ ওভারে ১০২/০ (তামিম ৪১, লিটন ৫০; অ্যাডায়ার ৩-০-২৯-০, হিউম ৩-০-১৫-০, হামফ্রেজ ৪-০-৩৬-০, ক্যাম্পার ৩.১-১-২১-০)
ম্যাচসেরাঃ হাসান মাহমুদ
ফলঃ বাংলাদেশ ১০ উইকেটে জয়ী।