রামগতিতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন বড়খেরী নৌ-পুলিশ

বাংলাদেশ

কাজী নাঈম উদ্দিন, ডেস্ক রিপোর্ট:

লক্ষ্মীপুর জেলার একমাত্র নদীমাতৃক উপজেলা রামগতি এই উপজেলার ভূ-খন্ড থেকে সস্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন মেঘনার বুকে নদীবেষ্টিত দুর্গমচর চর আবদুল্যাহ থেকে শুরু করে বড়খেরী ইউনিয়নের বানভাসী মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে বড়খেরী নৌ পুলিশ।

আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সুদক্ষ এবং বিচক্ষণ  ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক (নি:) ফেরদৌস আহম্মদের নেতৃত্বে একদল চৌকস পুলিশ ওই এলাকার শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষজন নৌ-পুলিশের এমন খাদ্য সহায়তা পেয়ে দারুণভাবে খুশি হয়েছেন। এছাড়াও বড়খেরী নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে মেঘনার পাড়ের কয়েকটি জায়গায় বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য একইভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

রামগতি বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ  ফেরদৌস আহম্মদ বলেন, মেঘনা নদীতে সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যেকোনো দুর্যোগে উপকূলের অসহায় ও দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে নৌ পুলিশ। বন্যা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কেউ যেন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে, সেজন্য নিয়মিত টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ পোশাকে নজরদারি রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে সময় উপযোগী পদক্ষেপ সঠিক ও সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা ও পর্যাপ্ত পরিমান উদ্ধার সামগ্রী, প্রচুর পরিমান প্রশিক্ষিত জনবল হতে পারে ক্ষয়-ক্ষতি কমানোর ও জানমাল রক্ষার উপায়।এজন্য চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সবসময় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য: দুর্যোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের ৭৭ উপজেলার ৫৮৪টি ইউনিয়ন বা পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আকস্মিক এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ওই ১১ জেলার ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জন। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯ পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *