নিজস্ব প্রতিবেদ,কাজী নাঈম উদ্দিন:
লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চত্বরকে ‘শহীদ আফনান’ চত্বর ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা। একই সঙ্গে লক্ষ্মীপুর জেলার ঝুমুর এলাকা ইলিশ চত্বরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র চত্বর ঘোষণা করা হয়।
এ সময় তাঁরা জুলাই মাসকে শোকের মাস এবং আগস্টকে বিজয়ের মাস বলে আখ্যায়িত করেছে।
গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী, সরকারিবিরোধী রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের জনগণ বিজয় মিছিল করেন।
পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিং করে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান সমন্বয়ক এনামুল হক, আবদুর রহিম আসাদ, ইমাম মো. রায়হান ও নাসিরুজ্জামান রাহাদ প্রমুখ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান সমন্বয়ক এনামুল হক বলেন, লক্ষ্মীপুর ‘সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপু একজন খুনি। তিনি আমাদের চার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছেন।
তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মহসিন কবির সাগর ও সাধারণ সম্পাদক সেবাব নেওয়াজকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়, তাদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান সমন্বয়ক এনামুল হক আরো বলেন, আজ ‘মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে শহরে বিজয় মিছিল করা হবে। সন্ধ্যায় জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হবে। একই সঙ্গে ঝুমুর এলাকা আমাদের আন্দোলনের স্থান ছিল। ঝুমুরের ইলিশ চত্বরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র চত্বর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’
সমন্বয়ক আবদুর রহিম আসাদ বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে সর্বস্তরের মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছে। স্বৈরাচার পতন করতে আমরা পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। সারা দেশে বিজয় মিছিল হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ. কে. এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু আমাদের ভাইদের গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা তার ফাঁসি চাই। অতিদ্রুত তাঁকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দিতে হবে।’