কাজী নাঈম উদ্দিন, জেলা প্রতিনিধি,
লক্ষ্মীপুর জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের সাথে জেলা জামায়াত ইসলামী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । এসময়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র ঐতিহ্য কনভেনশন সেন্টার নামে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে লক্ষ্মীপুর জেলা সাংবাদিকদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করে জেলা জামায়াত ইসলামী।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিস সূরা সদস্য ও লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে,মতবিনিময় ও নৈশভোজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিস সূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর এর সেক্রেটারী জেনারেল, এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, লক্ষ্মীপুরের কৃতিসন্তান ডক্টর মুহাম্মদ রেজাউল করিম বিশেষ অতিথিসহ আরো যারা উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এ আর হাফিজ উল্যা, সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মো: নাসির উদ্দীন ও এডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, শহর আমীর এডভোকেট আবুল ফারহা নিশান, লক্ষ্মীপুর বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট শাহাদাত হোসেন, শিবির সভাপতি এমরান পাটোয়ারী ও সেক্রেটারি মো: ফরিদ উদ্দিন, শহর জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ জহিরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় আমীরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা বর্তমান সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ইতমধ্যেই আমাদের নেতাকর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়ি পাহারায় সর্বত্র নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া জামায়াত ইসলাম কখনো প্রতিশোধে বিশ্বাস করে না। বিগত বছরে আমাদের ওপর নানা জুলুম নির্যাতন করলেও আমরা সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি দেশের শান্তি ফিরে আসবে। এছাড়া আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে আমরা তাদের রুহের আত্নারমাগফেরাত কামনা করি এবং যারা আহত হয়েছে প্রত্যেকের সুস্থতা কামনা করছি।
এছাড়া জামায়াত ইসলামের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন জামায়াত নেতা ড. রেজাউল করিম।
এসময় প্রেসক্লাবে সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেলসহ জেলার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত থেকে জামায়াত ইসলামী নেতাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করতে দেখা যায়।
সাংবাদিকেরা বলেন দেশে জামায়াত ইসলামী থাকলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সৃষ্টি হবে, আমরা একসময় মন খুলে লেখালেখি করতে পারিনি, আমাদেরকে ক্ষমা করবেন, এবং তারা দাবী করেন আইসিটি এক্ট বাতিল করে সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা সৃষ্টি করবেন।